আবু সাইদের লাশের ভার রাষ্ট্র কিভাবে বইবে !!!

খোন্দকার জিল্লুর রহমান :
হারিয়ে গেছে বুকের মানিক ফিরবে নাকো আর
রাষ্ট্র তোদের কেড়েই নিলো বাঁচার অধিকার।
প্রশাসনে নেইকো শাসন হরেক রকম বুলি
অধিকার কেউ চাইতে গেলে বুকে চালায় গুলি।
আর ফিরবেনা কোন দিনও নাড়ি ছেঁরা ধন
শেষ হবে না কখনো আর কোটা আন্দোলন
বাঁচিয়া থাকতে পারিনাকো তোদের হারিয়ে বাপ,
কেবল তোদের ভালোর লাগি সই দুনিয়ার তাপ।”
আকন্ঠ নিমজ্জিত কষ্টে রুমালে অশ্রু মুছিলেন…,
আবু সাইদের (কোটা আন্দোলনে পুলিশের সরাসরি গুলিতে নিহত) বাবা মায়ের অশ্রু, তবে তাদের কান্নার আওআজ কতদিন কতজনের কানে ধ্বনিত হবে জানি না? রংপুর রোকেয়া বিশ্বিবিদ্যালয়ের ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র আবু সাইদকে লক্ষকরে গুলিকরে হত্যা করেছে পুলিশ। সে পুলিশ হয়তো আরো অনেকদিন বেঁছে থাকবে তার সন্তানদের নিয়ে। কিন্তু সে নৈতিকভাবে স্বাধীন এবং খোলা মন মানসিকতা নিয়ে প্রকাশ্যে কিভাবে চলবেন, আমি জানি না তার বিবেক কি তাকে তাড়িত করবে কি না? অপর দিকে মায়ের নাড়ী ছেড়া ধন বাবার দুঃখ-কষ্ট আর দীর্ঘ ২৩ বছরের লালিত স্বপ্ন সাধনার ফসল বাঁচার অধিকার আদায়ে তীব্র জীবনযুদ্ধ নিমেশেই রাষ্ট্রযন্ত্র গুলিকরে হত্যাকরা আবু সাইদের বাবা মাকে সন্তনা দেয়ার মত কোন ভাষা আমার নাই। যেখানে পুরো বিশ্ব নিস্তব্ধ ও স্তম্ভিত হয়ে আছে। এক বাবার গগন বিদারি আর্তনাদ যেন আজ আকাশ বাতাস বিধীর্ণ করে পুরো বিশ্বের মানব জাতিকে অশ্রুশিক্ত করে একই রকম ধ্বনিতে ধ্বনিত হচ্ছে। সন্তানের লাশের উপত্ত্বকায় দাড়িয়ে বাবা মায়েদের এ আর্তনাদ লক্ষ কুটি মানুষকে অশ্রুশিক্ত ও ভাষাহীন করতে পারলেও কখনো কখনো অনেকে প্রতিশোধের জিঘাংষাকে হাসতে হাসতে খেলতে খেলতে চরিতার্থ করার মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহনের পথ সুগম করে নেয়, তবে এবার বিধি বাম…।
কোন কোন মৃত্যু বাবা মায়েদের স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান করে ফেললেও পুরো জাতিকে বোকা বানিয়ে এক শ্রেনির নির্বোধ দ্বায়িত্ত্বশীল লোকেরা নিজেদের ক্ষমতায় আঁকড়ে রাখার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে নিতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না। প্রবাদে আছে, “স্বৈরাচার কখনো অনুতপ্ত হয় না,” তাদের কান্না কুমিরের কান্নাকেও হার মানায়, অবস্তা দেখে মনে হয় এ যেন মাছের মার পুত্রশোক, (যেখানে মাছ তার নিজের বাচ্চাকে খেয়ে ফেলে, তার আবার পুত্রশোক)। আবু সাইদকে হত্যার দৃশ্যটি যতবার দেখেছি, ততবার নিজের অশ্রু ধরে রাখতে পারিনি, বিবেকের দ্বায়বদ্ধতার কাছে হেরে গিয়ে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের পর আবু সাইদকে নিয়ে আমার অশ্রুশিক্ত এ লেখা। পৃথিবির সবচেয়ে ভারী বোঝা হল ‘পিতার কাঁধে তার সন্তানের লাশ’। কিন্তুু এই একজন পিতার কাঁধে তার সন্তানের লাশের ওজন কত, তা পরিমাফ করার কোন যোগ্যতা, ক্ষমতা বা জ্ঞান রাষ্ট্রযন্ত্রের নাই। অনেক সময় নিজের বিবেকের নিকট একটা প্রশ্নের উত্তর খুজিঁ , মেধা বা মেধাবী কাকে বলে ? অনেকের মুখে বলতে শোনাযায় যারা লেখাপড়ায় ভাল করে বা বুয়েটে ভর্তি পরিক্ষায় টিকে, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিধ্যালয় গুলিতে টিকে,তারাই মেধাবী। আসলে কি তাই? তাহলে কি ধরে নিতে হবে যারা শুধু লেখাপড়ায় ও ভাল রেজাল্ট করে, এছাড়া অন্যকোন জ্ঞানবুদ্ধি, মনুষ্যপ্রেম, স্বধেশপ্রেম, এমনকি সামাজিক দ্বায়বধ্যতা ও বিবেকের ছিটাফোটাও যাদের নেই, তারাই মেধাবী? নাকি যে এই ছোট্ট ভুখন্ডটাকে স্বাধিন করার নামে দেশের ৩০লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, যার বিষাক্ত শুক্রানুতে জন্ম নেয়া খুনি ও স্বৈর শাসক হাসিনা রেহানা গংদের জন্ম, তারাই মেধাবী। দীর্ঘ ৫৪ বছর পর দেশে এই মুক্তিকামী সচেতন এবং জাগ্রত ছাত্র জনতা এই হত্যার/খুনের হোতার মরনোত্তর বিচার দাবি করেছে। যারা আদর্শের সৈনিক পরিছয় দিয়ে আবু সাইদের মত মেধাবিদেরকে নির্মমভাবে খুন করেছে, যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারি হয়ে শয়তানের পেতাত্তা হিসাবে খ্যাত রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো ধ্বংসকারী ৫ আগষ্ট ২০২৪ সোমবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদ পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া রক্ত পিপাসু খুনি হাসিনার স¤্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য বিবেক আদর্শ বলী দিয়েছে তারাই মেধাবী? আর মেধাবীরাই খুনি হয়? শয়তানও মেধাবী হয়, কিন্তুু শয়তানতো কাউকে খুন করেনাই। তাই বলে এমন মেধাবী হয়ে গর্ব করার কি আছে? মনুষ্যত্ব, সততা, স্বধেশপ্রেম, এমনকি সামাজিক দ্বায়বধ্যতা ও বিবেক না থাকলে সে মেধা ঘৃনিত ও অভিসপ্ত।
কোরানের ভাষায় মানুষ হল আশরাফুল মখ্লুকাত বা শৃষ্টির সেরা জীব। সৃষ্টির শেরা জীব হয়ে মানুষ মানুষকে খুন করতে পারে তারা মানুষ নয়, মানুষ রূপি হিংস্র জানোয়ার। আর এসব খুনিদের পালিয়ে যাওয়া সরকারের মদদপুষ্ট কোনপ্রকার ব্যক্তি বা বাহিনী দিয়ে তদন্ত না করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা না করে যারা আশ্রয় প্রশ্রয়সহ আইনী সহায়তা করে তারাওকি এর চেয়ে কম? আসলে তাদের হিংস্র জানোয়ার বললে ভুল হবে। কারণ হিংস্র মাংশাশী জানোয়ারগুলি পেটের ক্ষুধা নিবারনের জন্য অন্য একটা প্রানীকে শিকার করে খায় কিন্তুু নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করেনা। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার এবং তার দলীয় ও রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণী আইন সৃক্সক্ষলা রক্ষাকারী সকল মানুষরুপি হিংস্র প্রানিগুলি শুধু আবু সাইদকে হত্যা করেনাই, হত্যা করেছে গনতন্ত্র সহ আদর্শের সৈনিকরা গনহত্যার মধ্যদিয়ে একটা দেশকে, একটা জাতিকে, হত্যা করেছে গন মানুষের অধিকার। কেউ মুখ খুললে বা ন্যাহ্য প্রতিবাদ করলে তাকে গুম, খুন অথবা মৃত্যুপুরি নামে নিজেদের তৈরি আয়না ঘর বরন করতে হয়েছে। একটি স্বাধীন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংগঠিত সকল অন্যায় অবিচার, গুম, খুন ধর্ষন এমনকি জনগনের নৈতিক অধীকার হরনসহ সকল অন্যায়ের দ্বায়ভার ক্ষমতাসীন সরকারের উপরই বর্তায়। দেশের জনগন উদুর পিন্ডি বুধুর ঘাড়ে দিয়ে দায়িত্ত্ব এড়ানো চায় নাই, জনগন চেয়েছে শুধু ন্যায় বিচার, শিক্ষার অধিকার, মেধার অধিকার, মানবাধিকারসহ সৎভাবে বেঁচে থাকার অধিকার।
একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে ১৯৭৪ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ১৫১ জন (২০২৪ ব্যাতিত) শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী ৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাগুলিতে সাত খুনের ঘটনা ঘটে। স্বাধীনতার পর থেকে এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ে খুনের প্রথমত ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার চার বছর পর শফিউল আলম প্রধান (বর্তমানে মৃত) সহ অন্যান্য আসামীদের শাস্তি হয় এবং পরে বিএনপি সরকারের আমলে তারা ছাড়া পেয়ে পায়। সেই সময় থেকে সম্প্রতি আবরার ফাহাদ খুনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫১ লাশের মিছিল পুরো জাতির বিবেক কঠিন ভাবে নাড়া দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫১ খুনের জন্য শাস্তি পায়নি কেউই। শিক্ষার্থী খুনের মেধা তালিকায় ৭৪ শিক্ষার্থী খুন করে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থান অধিকার করতে পেরেছে। দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে বরেন্দ্র বিভাগীয় খ্যাতনামা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে খুন হয়েছে ২৯ শিক্ষার্থী, চট্টগ্রামে ১৯,কৃষি বি: তে ১৯, জাহাঙ্গীরনগরে সাত, ইসলামি ও বাংলাদেশ প্রকৈৗশলে দুইজন করে, ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন এবং শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন খুন করে খুনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষার্থী খুনের উৎসব দেখে জনগনের মুখে একটাই কথা শোনা যায়, সরকার সহ ক্ষমতাসিন দল ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতিকে অপরাজনীতিতে রূপান্ত করে ফেলেছে যা সূদুর অতিতের সরকার গুলোর মাঝে কিছুটা পরিলক্ষিত হলেও ক্রমান্ময়ে বাড়তে বাড়তে সম্প্রতি পালিয়ে যাওয়া খুনি স্বৈরাচারী সরকারের আমলে তা প্রকট আকার ধারন করেছে। এটা অস্বিকার করার কোন উপায় নাইযে প্রশাসনিক অযোজ্ঞতা ও রাজনৈতিক নিয়োগের কারনে দেশের প্রশাসন ও শিক্ষা অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়ার দ্বার প্রন্তে এসে দাড়িয়েছে।
লোভ-লালসা, প্রাপ্তি, উচ্ছাবিলাসিতা, ক্ষমতার মসনদে আরোহন, লেজুড়বৃত্বি তাদেরকে এহেন অবস্থানে নিয়ে গেছে। দেশের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপিঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিসিদের বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিশ্ব্যবিদ্যালয় বন্ধ এবং ভিসিদের পদত্যাগ সহ এমনিতে বেশ উত্তাল পরিস্থিতি, সেই সাথে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কথিত ছাত্রলীগ ও হেলমেট নামধারি নেতাকর্মীরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীদেরকে অত্যাচার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রতিটি ক্যাম্পাসের এবং প্রতিটি হলের গেষ্টরুমগুলিকে র‌্যাগিং ও টর্সার সেল তৈরি করে সরকারের লেজুড়বৃত্ত্বির মাধ্যমে প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে নিজেদের স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে খুনের উপত্ত্বকা সৃষ্টি করেছে যা একটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে দাঁড় করিয়েছে। এটা একটা শিক্ষীত ও উন্নত জাতি গঠনের জন্য অশনি সঙ্কেত বলে মনে করেন সুশীল সমাজের লোকজন।
যোগ্যতা ও আদর্শিকতার বাধ্যবাদকতা না থাকায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলরগুলির অনৈতিক কাজ ও শিক্ষা জীবনের অনিশ্চয়তার কারনে সাধারন জনগন দিনদিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে সন্তানদের লেখাপড়া করানোর আস্তা হারিয়ে ফেলেছে, এই অনাস্থা প্রকাশের কারনেই জনগন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ঝুকছেন। কিন্তু সেখানেও যোগ্যতার বালাই ব্যতিত ভিসি ও শিক্ষক নিয়োগে চলেছে পালিয়ে যাওয়া সরকারের শিক্ষা মন্ত্রীর দুই কোটি ও এক কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য। এ ব্যাপারে নিজের একটা কথা বলতে হয়, আমার ছোট মেয়ে ঐবছর (২০১৯ইং) এইচএসসি পাশ করার পর তার নৈতিকতার উপর একরকম চাপ প্রয়োগ করেই ঢাকা বিশ্ব্যবিদ্যালয় সহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ব্যবিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম সাবমিট করি, কিন্তুু তার একটাই মতামত, সে পাবলিক বিশ্ব্যবিদ্যালয়ে পড়বেনা, কারণ জানতে চাইলে বলে, যে বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের একজন ভাইস চ্যান্সেলর অনৈতিকভাবে স্লিপ দিয়ে ৩৪জন শিক্ষার্থী ভর্তি করান, তাকে শিক্ষক বলাতো যায়ই না বরং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদকে কলঙ্কিত করেছেন, তার নিকট থেকে ভাল শিক্ষা ও ভাল নাগরিক হওয়ার আশা করা যায়না। মেয়ের ব্যক্তি সচেতনতার কারনে বাধ্য হয়ে তাকে একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেই।
সর্বশেষ দেশের শিক্ষা ও জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলেসাজিয়ে (বর্তমান এবং এর পূর্ব শিক্ষাক্রমসহ বাদ দিয়ে) কোনরকম কোটা পদ্দতি না রেখে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে মেধাবী ও প্রথিতযসাদের দলীয় ও নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার না করে জবাবদিহীতার আওতায় রাখবে, তাহলে আবু সাইদের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে এবং সেইসাথে রাষ্ট্রও এই দ্বায়ভার থেকে মুক্তির পথে অগ্রসর হবে। আর প্রজাতন্ত্রের সর্বপর্যায়ে লোভ-লালসা, প্রাপ্তি, উচ্ছ বিলাসিতা, ক্ষমতায় আরোহন, লেজুড়বৃত্বি ও বিতর্কিত অবস্থা থেকে নিজেদেরকে পরিহার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সকল সহযোগিতা করতে হবে, এক স্বৈরাচারীর পতনের পর যাতে করে অন্যকোন স্বৈরাচারী অতিউৎসাহি হয়ে ক্ষমতা দখল করতে না পারে, এর জন্য যদি ৫থেকে ৭ অথাবা ১০ বছর সময় দিতে হয় তাও দেওয়া উচিত হবে বলে স্বৈরাচার পতনে আন্দোলনকারী ১৮ কোটি ছাত্র-জনতা বিশ্বাষ করে। দেশে খুনাখুনির অপরাজনীতির সংস্কৃতি বন্ধ করে শিক্ষা ব্যবস্থার মানকে একটা আন্তর্জাতিক অবস্থানে নিয়ে যাবে এবং দ্রুত গতিতে স্বৈরাচারী সরকারের এবং এদের দলীয় দোসরদেরসহ গনহত্যায় জড়িত সকল খুনিদের বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রয়োগ করে আবু সাইদসহ গনহত্যায় নিহতদের নিকট পাঠিয়ে দিবে, তাতে একটু হলেও আবু সাইদ এবং জুলাই অগাষ্ট ২০২৪শে নিহতদের বাবা-মায়ের আত্মা শান্তি পাবে, আর শান্তি পাবে দেশের ন্যায় বিচার প্রত্যাশি জনগনও। এটা সত্য যে, সামনে দেশের সকল অবকাঠামো ঢেলে সাজিয়ে ঠিক করে সমোন্নত রাখবে আবৃু সাইদের মৃত্যুর দ্বায়ভার, কিন্তু আবু সাইদের বাবা-মায়ের আমৃত্যু অন্তর্দহন রাষ্ট্র কিভাবে বয়ে বেড়াবে…??

লেখক : সম্পাদক প্রকাশক : অর্থনীতির ৩০ দিন।