
অর্থনীতির ৩০ দিন প্রতিবেদক :
নন লাইফ বীমা কোম্পানীর এজেন্ট কমিশন শূন্য করতে হলে বীমা আইন ও এজেন্ট নিয়োগ, নিবন্ধন ও লাইসেন্স সংক্রান্ত প্রোবিধানমালা সংশোধন করতে হবে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল)। অতি সম্প্রতি নন লাইফ বীমা খাতের এজেন্ট কমিশন শূন্যতে নিয়ে আসার বিষয়ে এক আলোচনা সভার মধ্যে তিনি এ মতামত ব্যক্ত করেণ।
নাসিরুদ্দিন আহমেদ পাভেল বলেন “২০২১ সালের মার্চ মাসে আইডিআরএ কর্তৃক নন লাইফে এজেন্ট কমিশন শূণ্য করে দেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে বীমা এজেন্ট (নিয়োগ, নিবন্ধন ও লাইসেন্স) প্রবিধানমালা, ২০২১ প্রণয়নের পর এই এজেন্ট কমিশন আবারো ১৫% করে দেয়া হয়। মূলত শুন্য কমিশন নির্ধারণের বিষয়টি বীমা আইনের ৫৮ (১) ধারা এবং বীমা এজেন্ট প্রবিধিমালার ৬.৭ ও ৮ ধারার সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ বিদ্যমান বীমা আইনে কোন বীমা কোম্পানিতে এজেন্ট ও এজেন্ট বিয়োগকারী বা ব্রেকার ব্যতীত অন্য কাউকে প্রিমিয়াম সংগ্রহের কারণে কোন পারিশ্রমিক প্রদানের সুযোগ নেই। অর্থাৎ ননলাইফ বীমা কোম্পানীতে যে সকল উনয়ন কর্মকর্তাদের প্রিমিয়ার আয়ের বিনিময়ে যে বেতণ ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে, তার আইনগত বৈধতা নেই। সম্প্রতিকালে বীমা আইন ২০১০ এ আনিতো সংশোধনী প্রস্তাবে ৫৮(১) পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়নি। আমি মনে করি ৫৮(১) ধারা পরিবর্তন আবশ্যক।
তিনি আরো বলেন, “অন্যদিকে এজেন্ট প্রবিধানমালা, ২০২১ অনুযায়ী নন লাইফের এজেন্টগণ ৭২ ঘণ্টা ট্রেনিং সম্পন্ন করে ও লাইসেন্স ফি প্রদান করে ওউজঅ হতে তিন বছরের জন্য লাইসেন্স গ্রহণ করে থাকে এবং মেয়াদ শেষে নবায়ন ফি দিয়ে তিন বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করে। এছাড়া এই সকল এজেন্টদের আয় হতে সরকার রাজস্ব সংগ্রহ করে। এমতাবস্থায় এই সকল এজেন্টদের লাইসেন্স বাতিল না করে এজেন্ট কমিশন শুন্য করা হলে বিষয়টি আইনের দৃষ্টিতে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তাই আমি মনে করি বীমা আইনের সাথেসাথে এজেন্ট প্রবিধানমালাও সংশোধন করা আবশ্যক।” বিআইএ’র সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যেহেতু ব্যক্তি এজেন্ট নন-লাইফের একমাত্র মার্কেটিং উরংঃৎরনঁঃরড়হ ঈযধহহবষ, তাই সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে এজেন্ট কমিশন ২০২১ সালের মতো তড়িঘড়ি করে শুন্য করে দেয়া হলে, তা অতীতের মতো কিছু বীমা কোম্পানিকে রাতারাতি প্রিমিয়াম বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়া হবে মাত্র।”