নন-লাইফের ০% কমিশন নতুন বোতলে পুরোনো মদের প্রস্তুতি কি না?

খোন্দকার জিল্লুর রহমান :
কমিশন! কমিশন!! কমিশন!!!… নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর জন্য কমিশন বর্তমানে একটা আলোচিত শব্দ। বীমা ক্ষাত ধ্বংসের দোর গোড়ায় কেন? কমিশন! আবার ভাল অবস্থায় কেন? কমিশন! বেশ কিছু কোম্পানীর অবস্থা খারাপ কেন? কমিশন! কিছু কোম্পানীর অবস্থা ভাল কেন? কমিশন! ব্যবসার অবস্থা খারাপ কেন? কমিশন! ব্যবসা ভাল কেন? কমিশন! কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেনা কেন? কমিশন! নন-লাইফ বীমা খাতে কমিশন এখন যেন এক বিষফোঁড়া, যা নিয়ে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) এবং আইডিআরএ’র মাথা ব্যথার শেষ নেই। আর শেষ হবেইবা কি ভাবে? যখন সরিষাতেই ভুত থাকে!
দেশের জিডিপিতে অংশীদারিত্বের দাবীদার বীমা শিল্প। এই বীমা শিল্পের উন্নয়নে বীমা শিল্পের অভিবাবক বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র নিকট নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর প্রায় শতভাগ ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরও দাবী ০% কমিশন। ইদানিং ব্যবসা মন্দার কথা বলে বলে কিন্তু হঠাৎ করে বীমা কোম্পানীগুলি সর্বোচ্চ কমিশন প্রতিযোগিতায়। তাইলে কি চেয়ারম্যান, পরিচালক এবং এমডি/সিইওদের অতিলোভই এর জন্য দায়ী? যদিও এমডি/সিইওরা কোম্পানীর চেয়ারম্যান এবং পরিচালকদের নিকট জিম্মি। আর আইডিআরএ! আইডিআরএ‘তো বীমা কোম্পানীগুলির মার্শাল ‘ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, কিন্তু কাজের বেলায় ঠনঠন। নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলির দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, অনৈতিক কর্মকান্ডসহ কমিশন প্রতিযোগিতা এখন প্রায় শীর্ষস্থান ছুঁইছুঁই। আর এসবের সাথে জড়িত কোম্পনীর চেয়ারম্যান, পরিচালক ও মুখ্যনির্বাহী কর্মকর্তাদের অনৈতিক প্রতিযোগিতায় পুরো ইন্স্যুরেন্স সেক্টর এখন টালমাটাল অবস্থার দিকে অর্থ্যাৎ এক কথায় খাদের কিনারে দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে একইভাবে নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর মালিকপক্ষের চাহিদা তার উল্টো। কারণ ব্যবসায়ীরা সর্বত্রই ব্যবসা খুঁজেন, ব্যবসা!! তাদের কাছে নীতি নৈতিকতা একরকম মূল্যহীন। বীমা কোম্পানীর মালিকগণ যদি সত্যিকারভাবেই ভাব-আদর্শের অনুসারী হতেন, তারা নিজেদের পয়সায় বিআইএ’র মত একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বাহ্যিক ভাবে একরকম এবং ভিতরগত ভাবে অন্যরকম কৃষ্ণলীলা না করতেন তবে বীমা শিল্পের আজ এই বেহাল দশা হতো না। শুধু মালিকপক্ষই নয় এই পেশার যথেচ্ছা ব্যবহারে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)ও এগিয়ে আছে, আর না থাকবেই বা কেন? আইডিআরএ এখন জ্ঞান বর্জিত নখদন্তহীন কাগুজে বাঘ হয়ে শুধু তর্জন গর্জনে আছে। যারা নীতি আদর্শ নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য না হলেও যারা নিয়মের ভিতরে ভিতরে অনিয়মের জন্ম দেন তাদের সাথে সবসময় সখ্যতা তৈরিতে ব্যস্ত, তাদের জন্য।
স্বপ্নে গড়া বাংলাদেশের বীমা খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট, কমিশন প্রতিযোগিতা ও মিথ্যাতথ্য দিয়ে তহবিল আত্মস্বাত, কোন রকম বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে বা কোন রকম নিয়ম নীতি বা রিক্রুটমেন্ট পলিসির অনুসরন ছাড়াই ভুয়া নিয়োগ দেখানোর মধ্যদিয়ে বেতন ভাতার নামে বিশাল অঙ্কের টাকা উত্তোলন করে নেওয়া, অবৈধ পথে জনগনের জমানো অর্থ বিদেশে পাচার করা, সরকারের কর ফাকি দেওয়া, আইডিআরএ’র বেঁধে দেয়া আইন ভঙ্গকরে অতিরিক্ত কমিশনে ব্যবসা করা, অতিরিক্ত কমিশনে ব্যবসা করার প্রমানসহ লিষ্ট আমাদের হাতে থাকা কোম্পানীগুলি অতিরিক্ত কমিশনকে জায়েজ করার জন্য ডামি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে অনৈতিক ভাবে পলিসি/ কাভারনোট বাতিল করে প্রিমিয়ামের টাকা গোপন করে মালিকদের বাসায় ব্যাগ ভর্তি টাকা পাঠানো, অনৈতিক মনোভাব নিয়ে স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে যোগ্যতা না থাকাসত্ত্বেও পরিচালনা পর্যদের দুই-তৃতিয়াংশের সন্মতি ছাড়া নিজের পছন্দসই (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) এমডি/সিইইউ/ মুখ্য নির্বহী কর্মকর্তা চলতি দায়ীত্ত্বে নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে একই সিন্ডিকেট, কোম্পানী গুলিকে ঠিক পুর্বের লাগামহীন অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন পরপর বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন(বিআইএ)’র স্বরব অবস্থা দেখে মনে হয় “এ যেন নতুন বোতলে পুরোনো মদ,” যা নিকট অতীতে অনেকবার দেখা গেছে। বীমা সংশ্লিষ্ঠ খাতের অনেকের মতে, একটার পর একটা কোম্পনীর দেউলিয়াত্ব দেশের আর্থিক খাতের জন্য অশনি সঙ্কেত ছাড়া আর কিছুই নয়।
বীমা শিল্পের বিকাশে আইডিআরএ এখন বড় বাধা বা সমস্যা বলে প্রায় আশিভাগ সিইও মনে করেন। চাকুরি চলে যাওয়া বা সোকজ খাওয়ার ভয়ে প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও এটা বাস্তব সত্য এবং খাত সংশ্লিষ্টরা এমনটিই মনে করছেন। আইডিআরএ’র অফিসে বর্তমানে প্রশাসনিক কোন শৃংখলা নেই বললেও একরকম ভুল হবে না, আবার অতীতেইবা কখন ছিল তাও প্রশ্নবিদ্ধ! সদস্যদের বদলে নির্বাহীরাই অফিস নিয়ন্ত্রণ করেন। নাম না বললেও কোন কোন সদস্য আবার নিজেরাই বিতর্কিত। আর তাই নির্বাহীরা দাপটের সাথে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে চেষ্টা করেন, যার ধারাবাহিকতা বর্তমানেও পরিলক্ষিত। যে কারনে অতি সম্প্রতি রাজনৈতিকভাবে সদস্যপদ পাওয়া (লাইফ,নন-লাইফ) সদস্যদের চাপের মুখে কালিমা নিয়ে তাঁকে বিদায় নিতে হয়েছে।
ইন্স্যুরেন্স ডেভলাপমেন্ট এন্ড রেগুলেটরি অথোরেটিকে (আইডিআরএ)সহ অর্থমন্ত্রনালয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে (লাইফ,নন-লাইফ) বীমা কোম্পানীগুলি বেশকিছু দুর্নীতিবাজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি), চেয়ারম্যান এবং পরিচালকরা এহেন দুর্নীতি, এবং লুটপাটের মহা উৎসবে নেমে পড়েছেন। প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দক্ষতায় অযোগ্য ইন্স্যুরেন্স ডেভলাপমেন্ট এন্ড রেগুলেটরি অথোরেটি (আইডিআরএ)‘র সুযোগ সন্ধানী কর্মকর্তরা স্বীয় স্বার্থ হাসিলের কারনে এবং প্রজতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে নিজেদের অবস্থান এবং নৈতিকতার কথা ভুলে গিয়ে অবৈধ আয়ের নেশায় বোঁধ হয়ে নিজেদের আখের গোছানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যা সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইনে, দুর্নীতি, অর্থ পাচার এবং দুদকের তদন্ত, বারবার গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়া এবং জামিনে মুক্তি (নজরুল ইসলাম) তাদের নির্লজ্জ বেহায়াপনার প্রতিবেদন ও সচিত্র চেহারা সারা দেশের ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক সেক্টরসহ দেশ-বিদেশের লোকেদের নিকট টক অব দ্যা ডেতে পরিনত হয়েছে। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলির অবিভাবক ইন্স্যুরেন্স ডেভলাপমেন্ট এন্ড রেগুলেটরি অথোরেটি (আইডিআরএ) এবং অর্থমন্ত্রনালয়ের দুর্বলতার সুযোগে কোম্পানীগুলির দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, প্রতিযোগিতামূলক কমিশনের সর্বোচ্ছ অবস্থান নিয়ে (প্রায় ৭০% ছুইছুই) অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত কোম্পনীর চেয়ারম্যান, পরিচালক ও মুখ্যনির্বাহী কর্মকর্তাদের হযবরল অবস্থার মধ্যে থাকা দেশের ৪৬টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানীগুলির তালিকায় হাতেগোনা দু-চারটা কোম্পানী ব্যতিত বেশিরভাগ কোম্পানীই সম-হারে একই সারিতে অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। অপরদিকে কমিশন নিয়ে বেশিরভাগ কোম্পানীর বেপরোয়া অবস্থান থাকলেও মাটি ও পাথর মূর্তিসম আইডিআরএ নির্চুপ ভুমিকায়। যদিও আমাদের বাংলাদেশের আয়তসীমানার তুলনায় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সংখ্যা লাইফ নন-লাইফ মিলিয়ে অনেক বেশী, এটা অস্বীকারের কোন উপায় নাই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে একজন নন-লাইফ বীমা কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে যতগুলি নন-লাইফ বীমা কোম্পানী আছে, সবগুলি কোম্পানীর ব্যবসায় টিকে থাকার মত ব্যবসা আমাদের দেশে নাই। যার কারনে কোম্পানীগুলোর ভিতর ব্যবসা সংগ্রহে কমিশন নিয়ে এক রকম নীরব প্রতিযোগিতা কাজ করে চলছে।
ফ্যাসিবাদি সরকারের পতন এবং পলায়নের পর নতুন সদস্য (লাইফ,নন-লাইফ) যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন, তারা কতটুকু কি করতে পারবেন এর উপরও অনেকে নির্ভর করতে পারছেন না বলে মতামত প্রকাশ করেন। অতীত নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কেহ কেহ বলেন, ঘরপোড়া গরু সিদুরে চাঁদ দেখলেও ভয় পায়, আমাদের অবস্থা সেই। আবার নিকট অতীতে কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারিকেও। গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান হিসাবে যোগদানের পর ২/৩ দিন অফিসিয়ালি মতবিনিময়ের পর বেশকদিন অসুস্থতার পর অফিসিয়ালি কার্যক্রম শুরু করে সাংবাদিকসহ সাক্ষাৎ প্রার্থীদের উপর নিয়ন্ত্রন আরোপ করেন। আর এতেকরে বিভিন্ন কোম্পানীর এমডি/সিইওসহ অফিসিয়াল অনেকের পক্ষে মতবিনিময় কঠিন হয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান হওয়ার কারনে ও চাকুরি নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে বেশিরভাগ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ০% কমিশন নিয়ে কথা বলাতো দুরের কথা এমনকি কোন প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়েও প্রকাশ্যে কিছু বলেন না।
এখানে টেকনিকেলি যে ব্যাপারটা উল্লেখ্য না করলেই নয়, একটা কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি)পর্যন্ত ক্ষমতাশীল স্থায়ী পদ, যদিও এএমডি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি)’র নিকট দায়বদ্ধ। এরপর কোম্পানিগুলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক/মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা/সিএফও যেটাই বলি এ পদটা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হলেও প্রকৃত পক্ষে এ পদটা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী পদ নয়, তার কারন হল কোম্পানিগুলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক/মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা/সিএফও পদে যারা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)‘র থেকে নিয়োগ অনুমোদন পান তা চুক্তিভিত্তিক এবং নবায়নযোগ্য পদ। আর এ পদে কোম্পানীগুলির চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্যদ কৌশলে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নিজেদের বলয়ের লোককে সিলেকসন দিয়ে নিয়োগ অনুমোদনের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ(আইডিআরএ)‘র নিকট পাঠান। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষও(আইডিআরএ) অনেক সময় অদৃশ্য শক্তির চাপের মুখে নিয়োগ অনুমোদনের সবশর্ত যাচাই বাচাই না করে ভিন্ন কিছু সুবিধা আদায় করে নিয়োগ অনুমোদন গ্রহন করেন। পরবর্তিতে শুরু হয় চেয়ারম্যান, পরিচালক এবং এমডি/সিইওদের যোগসাজসে কমিশনে ব্যবসা, দুর্নীতি ও লুটপাটের মহাউৎসব। কখনো কখনো আবার কোন কোন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নীতির সাথে আপোষ করতে না পারলে তিনি স¦-ইচ্ছায় পদত্যাগ করেন অথবা কোম্পানীর পরিচালনা পর্যদের চাপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)‘র শীর্ষ কর্মকর্তার কথায় প্রমানিত হল যে অতীতে তিনি বিআইএ, বিআইএফ, এবং নির্দিষ্ট কারো কারো চাপের নিকট অথবা কোন অদৃশ্য শক্তির নিকট ভীত হয়ে এ প্রবিধানমালার পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছেন। কমিশন নিয়ে বিআইএ’র কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সভার তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, যারা বাহ্যিক ভাবে কমিশন নিয়ে কথা বলেন, ভিতরগতভাবে তারাই সর্বোচ্ছ কমিশনে ব্যবসা করে যাচ্ছেন, আবার যারা অটোমেসন সফটওয়্যার বিক্রয় ব্যবসার মাধ্যমে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)‘কে বিশাল অঙ্কের খরচের মাধ্যমে কমিশন বন্ধে প্রলুদ্ধ হওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন, অথচ দুঃখের বিষয় হলো তাদের কোম্পানীই আইডিআরএ’র প্রদত্ত কমিশনের বিধান লঙ্গন করে সর্বোচ্ছ কমিশনে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। সবচেয়ে তাজ্জব ব্যপার হল, অতীতে বিআইএ’র কর্মকর্তাগন অনেকবারই ০% কমিশন নিয়ে ওয়াদাবদ্ধ হলেও পরবর্তিতে ওয়াদা রাখতে পারেন নাই। কমিশন নিয়ে ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিআইএ এর নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতির মতে বীমাখাতকে অবৈধ কমিশন এবং অনিয়ম থেকে উদ্দার করবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
ননলাইফ কোম্পনীগুলির আরো বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পরবর্তী কয়েকদিনের মধ্যেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে…।