“পি আর পদ্ধতি কি এবং প্রয়োগের সুবিধা-অসুবিধা”

কাজী মোকাররাম দাস্তগীর :
আজকাল Tv,Facebook অথবা ম্যাসেন্জার যাহাই দেখতে যাইনা কেন সকল ক্ষেত্রে একই আলোচনা “পি আর অর্থাৎ অংশিদারীত্বের নির্বাচন”।এখন দেখা দরকার পিআর পদ্ধতির নির্বাচন কি ও কেন?
আমাদের দেশের জন্য বিষয়টি নতুন কিন্তু পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত ১৭৬টি দেশের মধ্যে ৯১টি দেশে পি আর পদ্ধতি চালু আছে। যদিও আমেরিকা, ভারতের মতো কিছু গণতান্ত্রিক দেশে এই পদ্ধতি চলছে না।আমেরিকা স্বাধীন হয়েছে ১৭৭৬ সালে আর ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে ১৯৪৭ সালে, তাছাড়া শক্তিশালি এই গণতান্ত্রিক দেশগুলোর আশেপাশে তেমন কোনো ক্ষমতাধর দেশ নেই যে তারা ঐ শক্তিশালি দেশগুলোতে তাঁবেদার সরকার বসিয়ে পরোক্ষভাবে শাসন ও শোষণ করতে পারে। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ১৯৭১ সালে এবং স্বাধীনতার একমাত্র দাবিদার ক্ষমতায় বসেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় বসার মাত্র তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতার মূল চেতনাকে ধূলিসাৎ করে অধিকাংশ জনগণের মতামতের কোন তোয়াক্কা না করে একতরফা ভাবে একদলীয় ভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠার চেষ্টার ফলে আমরা একজন মহান নেতাকে হারালাম। ১৯৭৫ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসলেন।জনগণও আশায় বুক বাঁধলেন এবং তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন বিএনপি নামক জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল। দেশও ভালো চলছিল কিন্তু পার্শ্ববর্তী শকুনদের পছন্দ হলো না তাই তাকেও জীবন দিতে হলো। তারপরের ইতিহাস সকালের জানা।এরশাদ, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলেন ঠিকই কিন্তু দেশে দীর্ঘস্থায়ী গনতন্ত্র দিতে পারে নি। দেশের সাধারণ জনগনের চাওয়া-পাওয়া খুবই সামান্য। কিন্তু ক্ষমতা লিপ্সু দলিয় নেতারা আজীবন ক্ষমতায় থাকার লোভে একটি অসভ্য বর্বর ও লুটেরা গোষ্ঠী তৈরী করে সাধারণ জনগনকে শোষণ করার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করে থাকে।
এবার আসি উপরের লেখাটুকুর কারন কি? অথবা পি আর পদ্ধতির নির্বাচন কি? পি আর পদ্ধতির বা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন অর্থ সাধারণ জনগনের ভোটে যতদূর সম্ভব বেশী সংখ্যক দলের বাছাইকৃত যোগ্য সাংসদ কর্তৃক পরিচালিত সরকার ব্যবস্থা।আমাদের মতো উন্নয়নশীল ও স্বল্প উন্নত দেশে নির্বাচন কমিশন ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতির লক্ষ্যকে সামনে রেখে যতোদূর সম্ভব অধিক সংখ্যক দলকে তালিকাভূক্ত করে থাকে, যার অপর নাম বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় সর্বসাধারণ দলীয়ভাবে প্রতিক বা মার্কা দেখে ভোট দিয়ে থাকে। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন মানে যে দল নির্বাচনে অংশ নেয়া মোট ভোটারের যত শতাংশ ভোট পাবে সে অনুপাতে আসন অর্থাৎ সাংসদ পাবে,এটাই হলো পি আর পদ্ধতির নির্বাচন।যেমন দেশে যদি ১কোটি ভোটার থাকে আর কোনো দলীয় প্রতিকে যদি ১ লক্ষ ভোট পায় তবে উক্ত দল ৩০০আসন বিশিষ্ট সংসদে ৩টি আসন পাবে।
পি আর পদ্ধতি এবং বর্তমানে প্রচলিত সংসদীয় পদ্ধতির নির্বাচনে সুবিধা-অসুবিধা সমুহঃ
প্রথমতঃ প্রচলিত পদ্ধতির নির্বাচনে কোনো সংসদীয় এলাকায় যে দলের পার্থী সর্বোচচ সংখ্যক ভোট পাবেন তিনি সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হবেন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে পার্থীর প্রাপ্ত ভোট ঐ এলাকার মোট ভোটের ২৫%থেকে ৪০% ভোট পেলেই তিনি সাংসদ মনোনীত হবার সুযোগ থাকে, বাকি ৬০%থেকে ৭৫% ভোটার তাঁকে অপছন্দ করলেও তাঁর কথা সকলে মানতে বাধ্য। একই ভাবে সাড়া দেশে কোনো দলের প্রাপ্ত ভোট ৩০%থেকে ৪০% হলেও উক্ত দল ক্ষমতায় যেতে পারে।বাকি ৬০%থেকে ৭০% ভোটার উক্ত দলের অধীনে চলতে বাধ্য। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যে কয়টি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে কোনো দলই এককভাবে ৪০% এর বেশী ভোট পায়নি কিন্তু সরকার গঠনে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু পি আর পদ্ধতির নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে দল বা যে মার্কায় মোট ভোটারের যত পার্সেন্ট ভোট পাবে সে অনুযায়ী সাংসদ পাবেন এবং ৩০০ আসন বিশিষ্ট সংসদে কমপক্ষে ১৫১ আসন নিয়ে সরকার গঠন করতে হয় তাতে যে কয়টি দলের সমর্থন প্রয়োজন হউক না কেন?। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটার ১২ কোটি,৭৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৮৩ জন। তাদের মধ্যে বর্তমান পদ্ধতিতে মাত্র ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি ভোট পেয়েই একটি দল সরকার গঠন করার ক্ষেত্র তৈয়ার হওয়ার সুযোগ রয়েছে,যার ফলে অবশিষ্ট ৮ কোটি ভোটারকে শাসন ও শোষণ করার সুযোগ পেয়ে থাকে। তাতে করে সকল ভোটারই সরকারি দলের নির্দেশ মানতে বাধ্য। কেউ কেউ বলেন,যে সকল দলের দুই/একজন এমপি হওয়ার ক্ষমতা নেই তারাই পি আর পদ্ধতির নির্বাচন চায়।আমার মতে ৫/১০টি দল মিলে যদি সরকার গঠন করে তবে সেখানে কোনো দলিয় সাংসদদের সিন্ডিকেট তৈরির সুযোগ থাকার কথা নহে বরং এক দলের সাংসদ অন্য দলের সাংসদের প্রতি কঠোর নজর থাকার কারনে দেশ লুটপাটের স্বর্গ থেকে রেহাই পাবে। আর যে কোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়ার সময় অবশ্যই অংশিদার সকল দল বিচার-বিশ্লেষন করে সিদ্ধান্ত নিবে অথচ একদলীয় সংসদ যখন হবে তখন তা জী-হুজুর টাইপের সংসদ হবে, সাংসদেরা দলীয় প্রধানের কথার বাহিরে যেতে পারবে না।
দ্বিতীয়তঃ বাংলাদেশে নির্বাচন হয় দলীয়ভাবে।দলে যোগ্য প্রার্থী থাকুক না থাকুক প্রতিটি দলই চায় ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে।তাই উপযুক্ত ও শিক্ষিত লোকের অভাবে অশিক্ষিত, লোভী,সন্ত্রাসী,দু-চরিত্র,লোকদের প্রার্থী হিসাবে বাঁচাই করতেও দ্বিধা করেন না। আবার এই অযোগ্যদের মধ্যে অনেকেই শুধু মাত্র দলীয় প্রতিকের কারনে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে সর্ব ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পরেন, দুই একজন ব্যতিক্রম ছাড়া। গত ৫৪ বছর ধরে দেশের এই হালই দেখা গেছে। ফলে আমাদের দেশে রাজনীতি করাটা অনেকেরই কাছে ব্যবসা হিসাবে পরিগনিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে আমাদের কাছাকাছি স্বাধীনতা পাওয়া মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর নামক দুটি দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থান কোথায় তা আপনাদের অজানা থাকার কথা নহে।
তৃতীয়তঃ আমাদের অনেকেরই জানা আমাদের দেশের অধিকংশ দল প্রার্থী ঘোষণা করে এমন লোকজনদেরকে যারা নির্বাচনে শত শত কোটি টাকা খরচ করে জয় নিশ্চিত করতে পারবে। পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী দেশের সাংসদ প্রার্থীদের অনেকেই না কি ১০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করেন এমপি হওয়ার জন্য। কারন এখন অনেকেরই কাছে এটা একটা লাভজনক ব্যবসা।আর মানুষ বিনিয়োগ করে সুদে-লাভে পুঁজি উঠানোর লক্ষ্যে।যেহেতু দলিয় প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হওয়া একটা লাভজনক ব্যবসা তাই গত সংসদ নির্বাচনেও ৩০০ নির্বাচিত সাংসদের মধ্যে ১৯৮ জন ছিলেন ব্যবসায়ী (প্রতি সংসদ নির্বাচনের পর বড় বড় ব্যবসায়ীরা এই দলে যুক্ত হচ্ছেন)।উকিল,খেলোয়াড়, গায়ক-গায়িকা ও নায়ক-নায়িকা মিলে ছিলেন ৫৩ জন।বাকিদের মধ্যে গুটিকয়েক খন্ডকালিন রাজনীতির সাথে জড়িত। এতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে কিছু কিছু দল দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের সময় পার্টির তহবিলে কত টাকা চাঁদা বা অনুদান দিবে এবং নির্বাচনে কত টাকা খরচ করে সর্বোপরি আসনটি আয়ত্তে আনতে পারবে তার উপর ভিত্তি করে প্রার্থীতা অনুমোদন করে থাকে। ফলে উক্ত সাংসদ দ্বারা কিছুতেই দেশাত্মবোধে উদ্বোধ্য হয়ে সততার সাথে দায়িত্ব পালনে আশা করা যায় না।
চতুর্থতঃ অনেকে প্রশ্ন করেন পি আর পদ্ধতিতে আপনার এলাকার ভোটাররা কাকে দেখে ভোট দিবে? কিন্তু আমার বক্তব্য হলো বাংলাদেশের নিবনন্ধিত সকল দলেরই আলাদা মার্কা রয়েছে, আর ভোটারের মার্কা দেখেই ভোট দিয়ে থাকে। অপরদিকে এলাকা ভিত্তিক দলিয় ভাবে প্রার্থী নির্ধারন করায় প্রার্থীদের বেশির ভাগই দলিয় ক্যাডার দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নির্বাচনে জয় পেতে চায়। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্যাডারদের উদ্দেশ্য থাকে পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে এনে দূর্নীতি-লুটপাট ও চাঁদাবাজি ও দখলবাজির মাধ্যমে নিজের ভাগ্য ফিরানো।
পঞ্চমতঃ বর্তমানের নিয়মে নির্বাচন হলে যে কোনো দলীয় সাংসদ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের পদগুলোতে যাতে উক্ত দলের ভিতরে তারই পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে আসতে পারে তার সর্বধরনের চেষ্টা করবে যাতে তিন নেতা মিলে সকল ধরনের বরাদ্দ ভাগ-বাটোয়ারা করে ভোগ করতে পারে। দলীয় তিন সিন্ডিকেট এর কারণে এলাকার প্রশাসনও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে না, গত ৫৪ বছরের ইতিহাস তাই বলে।
কিন্তু পি আর পদ্ধতির নির্বাচন হলে ভোটারেরা গোপনে সঠিক ও সৎ প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবে। তাছাড়া উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে যেহেতু দলীয় প্রতিক থাকেনা তাই ভোটেরেরা প্রার্থীদের যোগ্যতা দেখে ভোট দিতে পারবে। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই স্থানীয় উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দ্বারা অপর দিকে সাংসদেরা রাস্ট্র পরিচালনায় প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালা নির্ধারনে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে। সেখানে উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে খাওয়ার সুযোগ কম থাকে।
ষষ্ঠতঃ কেউ কেউ যুক্তি দেখাতে পারেন স্বল্প শিক্ষীত ভোটারের উপযুক্ত প্রার্থী বাঁচাই করবে কিভাবে। যে কোনো দলে এলাকায় কোন প্রার্থী উপযুক্ত তা দল নিখুঁতভাবে যাচাই-বাচাই করে ঠিক করবে।দল যদি টাকার বিনিময়ে অনুপযুক্ত প্রার্থীকে অনুমোদন দেয় তবে ভোটারেরা ঠিকই উপযুক্ত প্রার্থীকে ভোট দিবে সে অন্য যে কোনো দলের হোক না কেন।যে দলগুলোর মোটামুটি কিছুটা হলেও জন সমর্থন আছে তাঁদের প্রার্থীদের মধ্যে পি আর পদ্ধতির নির্বাচনে যে কয়টি আসন পাবে সে কয়জন উপযুক্ত সাংসদকে সংসদে পাঠাবে।যেমন কোনো দলের ১০০ জন প্রার্থী রয়েছে অথচ সংখ্যানুপাতে মাত্র ১০ টি আসন পেয়েছে সে ক্ষেত্রে দল ১০০ জন পার্থীর মধ্য থেকে উপযুক্ত ১০ জনকে সংসদে পাঠাবে। এই পদ্ধতিতে সংসদ সদস্যদের দূর্ণীতিমুক্ত ও কল্যাণমূলক রাস্ট্র তৈরিতে সর্বপ্রকার আইনি কাঠামো তৈয়ার ও বাস্তবায়ন অতি সহজ হবে। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন দল ক্ষমতায় গেলে রাস্ট্র গঠন ও রাস্ট্রের সার্ভিক উন্নয়নে কি কি পদক্ষেপ নিবে তা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই লিখিত আকারে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক প্রকাশ-প্রচারনা চালাবে। তাতে করে যে দলের নীতিমালা ভোটারদের পছন্দ হবে ভোটারেরা সেই দলের মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চেষ্টা করবে। অপরদিকে ইউনিয়ন, জেলা-উপজেলার চেয়ারম্যানগন নির্দলীয় প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ ভোটারেরা যোগ্যতা দেখে পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে।এই আইনি কাঠামোতে দেশের সর্বধরনে উন্নয়নে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ দলীয় সাংসদদের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পারবে।
সপ্তমতঃ কেউ কেউ বলতে চান পি আর পদ্ধতির নির্বাচনে সমাজে বিভাজন তৈরি হবে।আমার মতে প্রচলিত সংসদীয় পদ্ধতির তুলনায় পি আর পদ্ধতিতে বিভাজন কম হবে। কারন বর্তমানে একই আসনে পাঁচ দলে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিযোগীতা করে থাকে। এক প্রার্থী অপর প্রার্থীর বিরুদ্ধে সর্বধরনে অপপ্রচার ও কুটশা রটাতে থাকে, এতে করে শুধু প্রার্থীদের মধ্যেই নহে বরং এলাকার সাধারণ ভোটার যে যে প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
এইভাবে বহু যুক্তি দেয়া যায়, কিন্তু আপনাদের ধৈর্য্যচুতির হবে ভেবে লিখলাম না। উপরের সকলই আমার একান্তই নিজস্ব অভিমত, কোনো ব্যক্তি,দল বা গুষ্ঠি মনকষ্ট পাক তা কিন্তু আমি চাইনা। তবুও আমার লেখায় কেউ কষ্ট পেলে আমি ক্ষমা প্রার্থী। আপনিও ইচ্ছে করলে নিজস্ব যুক্তি তুলে ধরতে পারেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝবার এবং দেশের জন্য কাজ করার তৌফিক দিন -আমিন।

লেখক : ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সি ই ও
ইসলামি কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স পিএলসি।