“বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের অর্থ ৬ বছরেও ফেরেনি”


খোন্দকার জিল্লুর রহমান:
দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাকিংয়ের অর্থ ফেরত এসেছে মাত্র ১৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার মাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে এ ঘটনায় মামলা হলেও তা চলবে কিনা সেই রায় আসেনি তিন বছরে। অর্থ উদ্ধারে রিজাল ব্যাংকের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করা তাগিদ দেশের অর্থনীতিবিদদের।
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়, এবং বাংলাদেশ ব্যাংেকের নিরাপত্বা ব্যাবস্থা হুমকির মুখে পড়ে। যদিও সরকার এই নিরাপত্বা হুমকি কাটিয়ে উঠার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। দুর্বৃত্তরা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির চেষ্টা করে । শ্রীলংকামুখী ২ কোটি ডলার আটকে দেয়া হলেও বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ বা ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংক বা আরসিবিসি হয়ে চলে যায় বিভিন্ন ক্যাসিনোয়, যার সঠিক অনুসন্ধান করা আজও সম্ভব হয় নাই। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রায় ৬ বৎসর পেরিয়ে গেলেও ফিরেছে মাত্র ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাকি ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা ৫৬০ কোটি টাকা ফেরতের কোন নিশ্চিয়তা পাওয়া যায়নাই আজ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের ঘটনায় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করা হলেও বাংলাদেশর এই মামলা চলবে কি না, গত তিন বছরেও এর কোন সুরাহা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলা তদন্ত পর্যন্ত গাড়ালেও ফিলিপাইনে ১২টি মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনও।চুরি যাওয়া অর্থ ফেরাতে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে রিজাল ব্যাংকের ওপর চাপ সৃষ্টির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
চুরি যাওয়া রিজার্ভের ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের সোলায়ের ক্যাসিনোর অ্যাকাউন্টে আটক আছে। দেশটির আদালতের রায় পক্ষে এলে এই অর্থ ফেরত পাওয়ার আশা করা যায় বলে অনেকের ধারনা। তবে এই অর্থের পুরো অর্থ বাংলাদেশ পাবে কিনা নাকি আংশিক পাবে , তা ফিলিপাইনের উচ্চ আদালতের উপর নির্ভর। বাকি ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের কোন হদিছই পাওয়া যায় নাই।
মাননিয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সাল পর্যনÍ উন্নত আয়ের দেশের মহা পরিকল্পনাকে সামনে রেখে দেশের এহেন দুনীতি পরায়ন ব্যক্তি বা গুষ্টিকে সঠিক বিচার বিভাগিয় তদন্তের মাধ্যমে খুজে বের করে বিচারের আওতায় এনে উন্নত দেশের বাস্তবায়নকে সমুজ্জল রাখার জন্য ১৮ কোটি জনগনের দৃষ্টি এখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে।
লেখক : সাংবাদিক,কলামিষ্ট।