
জাতির পিতার স্বপ্নের বাস্তবায়ন করা দেশের অর্থনীতিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)এর ভুমিকা বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা’র সংস্কার উন্নয়নমুখি বীমাখাতের সুদুর প্রসারী উন্নয়নের সহায়ক হবে বলে খাত সংশ্লিষ্ট অনেকে আশা প্রকাশ করেন।

খোন্দকার জিল্লুর রহমান :
জাতির পিতার স্বপ্নের বাহস্তবায়ন করা দেশের উন্নয়নে বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা(সিইও) নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালায় সংশোধন এবং সংস্কারন করে যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেন এতে করে বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা’র সংস্কার উন্নয়নমুখি বীমাখাতের সুদুর প্রসারী উন্নয়নের সহায়ক হবে বলে খাত সংশ্লিষ্ট অনেকে আশা প্রকাশ করেন এবং সেই সাথে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোদ জ্ঞাপন পুর্বক বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ভূয়ষি প্রশংসা করেন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারীর স্বাক্ষরিত গত ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ/ ১২ ডিসেম্মর,২০২৩ কিষ্টাব্দে প্রকাশিত এস আর ও নং ৩৩৮-আইন/২০২৩। বীমা আইন, (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ১৪৮,ধারা ৮০ এর সহিত পঠিতব্য এবং এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সরকারের অনুমোদনক্রমে বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা ২০১২এর নিম্নউল্লেখিত সংশোধন এবং সংস্করনকরা হলো… এ ছাড়াও আরো বেশ কিছু নতুন সংশোধনী আসছে এই প্রবিধানমালায়।
উপরি-উক্ত প্রবিধান মালার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রজ্ঞাপন এবং সংশোধন এর কপি সংযোজন করা হলো….



প্রবিধানমালার সংশোধিত প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে মতামত জানতে চেয়ে বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) এবং মুখ্য নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ) এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)কে সাধুবাদ জানান।
প্রবিধানমালার প্রজ্ঞাপন অনুসারে, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে- কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে ২য় শ্রেণীর সম মানের সিজিপিএসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অথবা চার বছর মেয়াদী স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রীর অধিকারী। গ্রেডিং পদ্ধতির ফলাফলের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। তবে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারীদের বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন হতে সমতাকরণ সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।
এর আগে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩য় শ্রেণীর স্নাতক ডিগ্রীও গ্রহনযোগ্য ছিল। অর্থাৎ স্নাতকের ফলাফলের বিষয়ে কোন সীমা নির্ধারণ ছিল না। এমনকি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীর গ্রহণযোগ্যতার বিষয়েও কোন বক্তব্য ছিল না, অতিত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে দেশের স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে অনেক বীমা কোম্পানির সিইও মেট্রিক এবং আইয়ে ৩য় বিভাগে পাশ ছিলেন। সে দিকে লক্ষ রেখে প্রবিধানমালায় উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা শুধুমাত্র নতুন সিইও নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে প্রযোয্য হবে, বর্তমান যারা ৬৭ বছর বয়সের সীমাবদ্ধতায় বহাল আছেন তাদের বেলায় প্রযোয্য হবে না।

বর্তমানে প্রজ্ঞাপনে মুখ্য নির্বাহীর কর্ম অভিজ্ঞতার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে- ইতোপূর্বে কোন বীমা কোম্পানিতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বা এর অব্যবহিত নিম্নপদে অন্যুন ২ বছর কর্ম অভিজ্ঞতাসহ বীমা ব্যবসায় অন্যুন ১২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা; তবে, কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত মনে করলে উল্লেখিত শর্তের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ অনুমোদন করতে পারবে। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ লাভের জন্য প্রার্থীর অযোগ্যতার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ৪০ বছরের বিধান বাদ দেয়া হয়েছে এবং মেয়াদ শেষ হলে ৬৭ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত পুনর্নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশী বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশের নাগরিক বা বাংলাদেশের ডমিসাইল’ হওয়ার বাধ্যবাধকতাও তুলে নেয়া হয়েছে। মুখ্য নির্বাহীর মোট বেতনের বিষয়ে বলা হয়েছে- মোট বেতন, মূল বেতন, বাড়ী ভাড়া এবং অন্যান্য ভাতাদি (চিকিৎসা, উৎসব ভাতা, ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদির পরিমাণ বা সীমা নির্দিষ্ট অংকে উল্লেখ থাকতে হবে)কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদএর সমন্বয়ে নির্ধরন করা হবে। এক্ষেত্রে অন্যান্য সুবিধাসমূহ আর্থিক মানদন্ডে নির্ধারণের বিষয়টি অনধিক ১০লক্ষ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। অন্যদিকে মুখ্য নির্বাহীর নির্ধারিত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসমূহ ব্যতীত অন্য কোন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সুবিধা, যেমন- লভ্যাংশ, কমিশন, যেকোন ধরনের ক্লাব সদস্য সংক্রান্ত খরচ প্রদানে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ‘ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘ইনসেনটিভ’ সুবিধা প্রদানেও নির্দিষ্টতা উল্লেখ করা হয়েছে।