

খোন্দকার জিল্লুর রহমান :
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় অযোগ্য, অভিজ্ঞতাহীন ও স্বজনপ্রিতি এবং বিনিময়ে নিয়োগের ফলে দেশের জিডিপিতে অবদান রাখার মত বিশাল বীমাখাত নিরবে ডুবতে বসেছে। সম্প্রতি পালিয়ে যাওয়া সরকারের সিমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট এবং দলীয় প্রিতির কারনে দেশের সম্ভাবনাময়ী বীমাতে যে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে তা একদিন, একমাস, এক বছর বা এক যুগে তৈরি হয় নাই। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে এঅবস্থা চলে আসার কারনে বীমাখাতে অবকাঠামোগত ভঙ্গুর এবং ব্যবসায় ধস নামার মত যে বেহাল অবস্থা চলমান আছে তা থেকে পরিত্রান পাওয়া খুব একটা সহজ সাধ্য ব্যপার নয়।
আওয়ামী সরকারের আমলে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত চার জন সদস্য এক যোগে পদত্যাগ করেছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক বিভাগ সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের চেয়ারকে কলঙ্কিত করে এবং সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী নিজেও কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলে এর বিপরীতে এ পদের জন্য সিনিয়র সচিব ড. এম আসলাম আলমকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় ড. এম আসলাম আলম ব্যাংক ও বীমা সেক্টরে অনেক দিনের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে বিধায় তাঁর কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য বীমা শিল্পে দক্ষ, অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত এবং বীমা শিক্ষায় ভাল জ্ঞান সম্পন্ন যোগ্য লোক নিয়োগ করা গেলেই বীমা শিল্পে বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সত্যিকার অর্থে একটি কার্যক্রম টিম গঠন করা সম্ভব বলে মনেকরা হলেও নিকট অতীতে যারা বীমা শিল্পে দীর্ঘ দিনের জমে থাকা আবর্জনা বানিয়ে সুযোগ সন্ধান করেছিল, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে বীমা শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার ফাঁকাবুলি ছেড়ে বীমা শিল্পকে নিজেদের স্বার্থের বলিদান করে রেখেছিলেন, ‘যার কারনে বীমা শিল্পে আজকের এই বেহাল দশা, ড. এম আসলাম আলম এর থেকে ব্যতিক্রম কি না বীমাখাতের অনেকের নিকট এটা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করেন।
দেশে প্রচুর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনেক বীমাবিধ বেকার এবং অবসরপ্রাপ্ত রয়েছে, যাদের বীমা শিল্পের উপর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিভিন্ন বই পুস্তক লিখে বীমা শিল্পকে স্বাবলম্বী রাখার চেষ্টা করেছেন এবং তাদের বই পড়ে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি এখাতে কাজ করে বহুলোক সফলতা অর্জন করেছেন। যারা স্বস্বক্ষেত্রে থেকে দেশের বীমা শিল্পকে (লাইফ এবং নন-লাইফ) আলোক বর্তিকার মত জ্বালিয়ে রেখেছেন, যাদের কারনে দেশের বীমাশিল্প এখনো হাটিহাটি পাপা করে এগিয়ে চলেছে এবং টিকে আছে। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার বিকল্প কোন কিছুই হয় না, আউডিআরএ ও অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক বিভাগের দুরদর্শি লোকজন দেখে দেখে এবং বীমাখাতে তাদের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনায় নিয়ে কোন বিনিময় ব্যতিত এসব বীমা জ্ঞান সম্পন্ন লোকেদের আইডিআরএ’র সদস্য (লাইফ নন-লাইফ) করে থাকেন সেইসাথে অন্যান্য পদগুলিতেও ভালো বীমাজ্ঞান সম্পন্ন লোকেদের কাজে লাগানো যায় তাহলেই দেশের বীমাখাত অনেকটাই ভঙ্গুর এবং বেহাল অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রান পাবে। প্রকৃতপক্ষে বলতে হয় অভিজ্ঞতার কোন বিকল্প নাই।
মূলত বীমা খাতকে রক্ষা ও শৃঙ্খলিত করার জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ গঠিত হয়। সেই রক্ষক প্রতিষ্ঠানের প্রধানই এখন ভক্ষকের ভুমিকায় আবির্ভূত হয়ে তখন গোটা বিমা খাতই দেউলিয়াত্বের মুখে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন বীমাসংশ্লিষ্টরা। সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি ও একাধিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বোর্ড ভেঙে দিয়ে নিজস্ব আদলে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধি করছেন বলে ভুক্তভোগী বিভিন্ন কোম্পানির লিখিত অভিযোগে উঠে এসেছে।

বীমা শিল্পের বিকাশে আইডিআরএ বড় বাধা বা সমস্যা বলে প্রায় আশিভাগ সিইও প্রকাশ্যে সিকার না করলেও সত্য এবং খাত সংশ্লিষ্টরা এমনটিই মনে করছেন। একেতো আইডিআরএ’র অফিসে প্রশাসনিক কোন শৃঙ্খলা নেই, অপরদিকে সদস্যদের বদলে নির্বাহীরাই অফিস নিয়ন্ত্রণ করেন। কোন কোন সদস্য আবার নিজেরাই বিতর্কিত। আর তাই নির্বাহীরা দাপটের সাথে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যানকে নিয়ন্ত্রণ করেন। চেয়ারম্যান নিজের অযোগ্যতার কারণে নির্বাহীদের অসত্য ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারনে বিতর্কিত হচ্ছেন। চেয়ারম্যান কারো চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেননা, কারণ তার বীমা বিষয়ে জ্ঞানের অভাব পরিলক্ষিত ছিল, যা গত ১৪/০৬/২০২২ শে তার চেয়ারম্যান হিসাবে আইডিআরএ যোগ দেওয়ার কদিন পর থেকেই সবার জানা হয়ে যায়। তার কথা ও কাজে কোন মিল ছিলনা। তিনি অবসরকালীন সময়ে যাদের কৃপায় আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান হয়েছেন, তাদের তুষ্ট করতেই সত্যটাকে তলিয়ে না দেখে তাদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। তাই তিনি তার নির্বাহী পরিচালকের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছেন। তারা লোভী, আর্থিক লেনদেনে অভ্যস্ত এটা খাত সংশ্লিষ্ট কারোরই অজানা ছিলনা। তাই অসৎ, অনবিজ্ঞ জাল সার্টিফিকেটধারী, জুয়াচারী হতে শুরু করে, স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত চোর বাটপাররাও অর্থের বিনিময়ে বীমা কোম্পানীর সিইও হিসাবে আইডিআরএ’র অনুমোদন পেয়ে বর্তমানেও কোন কোন কোম্পানিতে চাকুরিরত আছেন, অন্যদিকে ভুয়া ও জাল সার্টিফিকেট নিয়ে অনেক বির্তকিত ব্যক্তিও সিইওর দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এককথায় সম্প্রতি কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে পদ পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান বীমা শিল্পকে জাহান্নামের গোড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এবং তার অসৎ কর্মকর্তাদের বিতকির্ত কর্মকান্ডই বীমা খাত ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট ছিল। বীমাখাত সংশ্লিষ্ট অনেকে এমনও মন্তব্য করে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এখন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ না হয়ে নিজেদের স্বার্থ উন্নয়ন ও হাসিলের কর্তৃপক্ষে পরিনত হয়েছে। তাঁরা আইডিআরএ কে ডুবিয়ে নিজেদেরকে ভাসাচ্ছেন, তাঁরা আইডিআরএ’র ভিতর সুকৌশলে আরেক অদৃশ্য সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। তাঁদের দুএকজন আবার এনএসআই এবং সরকারের উচ্চমহলের কারোর নাম ব্যবহার করে অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে কর্তৃত্বের মাধ্যমে দাপিয়ে বেড়ান, বীমা উন্নয়নে তাদের জ্ঞান সীমিত থাকলেও সে সময়ে শেখ পরিবারের পরিচয়ে এবং কিছু কোম্পানির প্রভাবশালী মালিকদের সন্তানদের এমডি/সিইও বানানোর স্বার্থে আইডিআরএ’র জুতসই আইন পরিবর্তনে বীমাখাত ধ্বংসে তাঁরা পাকা খেলোয়াড় হিসাবে কাজ করছেন।
আওয়ামী সরকারের আমলে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত চার সদস্য গত ৭ নভেম্বর ২০২৪ এক যোগে পদত্যাগ করেছেন, তাদের পদও আজ পর্যন্ত পুরন হয় নাই। বর্তমান অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক বিভাগ সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের চেয়ারকে কলঙ্কিত করে এবং সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী নিজেও কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলে এর বিপরীতে এ পদের জন্য সিনিয়র সচিব ড. এম আসলাম আলমকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ড. এম আসলাম আলমমের নিয়োগ পরবর্তি কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে এস্বল্প সময়ের ব্যবধানে তিনিও বিতর্কের ঊর্ধে রয়েছেন বলে বীমাখাত সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেননা বলে নাম প্রকাশ না করার স্বর্তে মতামত ব্যক্ত করেন। হয়তো এটা অবিশ্বাস করার কোন উপায় নাইযে, একটি পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক হয়ে ওনার দফতরে দুদিন গিয়েও দেখা না করতে পেরে আমাকে ফিরে আসতে হয়েছে। অপরদিকে একইভাবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের ভিতরেও এমন বিতর্ক শোনা যায় যে বর্তমান চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলমের সাথে দেখা করতে কারো কারো দুদিন সময় লেগেছে। ড. এম আসলাম আলম বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মস্থলে যোগদানের পর ২/৩ দিন কোম্পানী সংশ্লিষ্টদের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর থেকেই কেহ তাঁরসাথে দেখা করতে হলে লিখিত আবেদন দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে দেখা করতে হবে, এমন নিয়ম চালু করেন বলে চেয়ারম্যানের পিএসসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। কয়েকটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্ষেপ করে বলেন, আমরাই ওনার সাথে দেখা করতে দুই দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়েও প্রকাশ্যে সাহস করে কোন বক্তব্য বা কোনো কিছু না বললেও তিনি অনেকের সমালোচনার উর্ধে থেকে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন বলেও অশুদ্ধ বলা যায় না, এরই মাঝে অবশ্য তিনি কর্মক্ষেত্রে যোগদানের কিছুদিন পর হার্টের সমস্যাজনিত কারনে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বেশকদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। একথা সত্য যে, সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী একজন সরকারী কর্মকর্তা নির্দিষ্ট বয়সের পর কাজের সামর্থ হারান বলেই তাঁকে অবসরে পাঠানো হয়, সেক্ষেত্রে দুই বৎসর অবসরে থাকার পর ঐকর্মকর্তাকি আবার কাজের সামর্থবান হয়ে যান কিনা এটা প্রশ্নবিদ্ধ নয় কি ? যদি তাই নাহয়ে থাকে তাহলে তাদেরকে অবসর সময়ের কর্মস্থলে নিয়োগ না করে অভিজ্ঞতা না থাকা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ার কারনে তিনিও বিতর্কিত হন এবং ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ লোকেদের নিকটও হেয় প্রতিপন্ন হয়ে কাল ক্ষেপন করতে হয় যা গ্রহনযোগ্য নয়।
অন্যদিকে অনেক যোগ্য, অভিজ্ঞ ও পূর্বের দায়িত্ব পালনকারী অনেক সিইও বর্তমানে বেকার রয়েছেন, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইডিআরএ’র বিনিময় স্বার্থ পুরন না হলে এবং সেচ্ছাচারিতায় ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে বেকার রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশকিছুক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কেও তোয়াক্কা না করে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে আইডিআরএ, যার প্রমান সংস্থাটির আইন বিষয়ক পরিচালক আব্দুল মজিদ সাক্ষরিত স্বদেশ লাইফ ও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে দেওয়া চিঠির মাধ্যমে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ অতীতের এবং বর্তমানের সকল কার্যক্রম যাচাই বাচাই করে এদের থেকে সর্ববিষয়ে যাদের অভিজ্ঞতা বেশি এরকমদের আইডিআরএ’র লাইফ এবং নন-লাইফ সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে অতিদ্রুত আইডিআরএ’র শুন্যপদ পুরনের মাধ্যমে বীমা খাতের অচলাবস্থার সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি। নন-লাইফ বীমাখাতে যাদের নাম উল্লেখ করার মত, তাদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, মীর নাজিমউদ্দিন আহমেদ, বায়জিদ মুজতবা সিদ্দিকী, মোহাম্মদ ইমাম শাহিন, এস এম শহিদুল্লা প্রমুখ এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্সের যাদের নাম উল্লেখ করারমত তাদের মধ্যে এমএম মনিরুল আলম, মোহাম্মদ জালালুল আজিম, শেখ রাকিবুল করিম, এসএম জিয়াউল হক এবং মোহাম্মদ সামছুল আলমদের মত লোকজন স্বস্বক্ষেত্রে ভাল অবদান রেখেছেন।
যোগ্যলোক তৈরি এবং পাওয়ার জন্য আইডিআরএ’র যদি স্বদিচ্ছা থাকে তবে প্রতিটি বীমা কোম্পানীর জন্য এক ও অভিন্ন বেতন অবকাঠামোর নজির তৈরী করে দেখানো ক্ষমতার অপব্যবহার নয়, এটা প্রশাসনিক দুরদর্শিতা। আসলে আইডিআরএ‘র অযোগ্যদের কারনে বহুপুর্বেই এ ক্ষমতা হারিয়ে এখন কাগুজে বাঘের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আইডিআরএ’র যদি নিজেদের সাথে তুলনা করে তাদের বেতন-ভাতা নির্ধারন করে এটাও ভুল, কারন তারা জানে না তাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন লোক বীমা কোম্পানীতে চাকরি করেন।
আইডিআরএ গঠনের সময়ে প্রবীন বীমা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি “এডভাইজরী বোর্ড” গঠনের কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা পরিলক্ষিত হয় নাই। এখন এই দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে বীমা জ্ঞানে সমৃদ্ধ বীমা পেশাজীবিদের নিয়ে অতিসত্ত্বর বীমা “এডভাইজারী বোর্ড” গঠন করা উচিত। তাহলে আইডিআরএ’র অনৈতিক ও আইন অমান্যকারী সিদ্ধান্ত থেকে বীমা শিল্প কিছুটা রক্ষা পাবে এবং আইডিআরএ কিছুটা হলেও নিয়মতান্ত্রিকতায় আসবে, সেই সাথে কোম্পানীগুলো সঠিকভাবে চলতে পারবে বলে খাত সংশ্লিষ্ট সকলের ধারনা।
চলবে….